থেরাপির
কাজে যে আলট্রা সাউন্ডের কম্পন বা ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাবহার করা হয় তার রেঞ্জ হলো - ৭,৫০,০০০
থেকে ৩০,০০,০০০ হাজ (Hz) পর্যন্ত। এই কম্পনের ফলে যে ইনটেন্সিটি বা তাপ উৎপন্ন হয় তার পরিমাণ হল ০.১ থেকে ৩ ওয়াট প্রতি বর্গ
সেন্টিমিটার (W.cm²) । এর আবার ডেপ্থ পেনিট্রশন রেট বা ভদন ক্ষমতা হল ২ থেকে ৫ সেন্টিমিটার।
এক, একটা
ফ্রিকোয়েন্সি উৎপাদন বাক্স।
দুই, একটা
কোঅ্যাক্সিয়াল কেবল।
এই আল্ট্রা
সাউন্ড ওয়েভের কয়েকটি বৈশিষ্ট হলো -
১. ট্রান্সভার্স ওয়েভ আর লঙ্গিটিউডিনাল ওয়েভ (Transverse vs. Longitudinal Wave)
এর মধ্যে দুই ধরনের ওয়েভ বা তরঙ্গ দেখা যায়। যেমন - ট্রান্সভার্স ওয়েভ আর লঙ্গিটিউডিনাল ওয়েভ। ট্রান্সভার্স ওয়েভ হল তির্যক তরঙ্গদৈর্ঘ যা হাড়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আর লঙ্গিটিউডিনাল ওয়েভ হল লম্বালম্বি বা অনুদৈর্ঘ তরঙ্গ যা নরম মাংস পেশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
২. প্রতিবিম্ব শক্তি বা Reflected/Refracted
আল্ট্রা
সাউন্ড ওয়েভের একটা বিশেষ প্রতিবিম্ব শক্তি থাকে যার প্রভাব বিভিন্ন কোষ ও কলার
উপর বিভিন্ন হয়। যাকে বলা হয় অ্যাকুস্টিক ইম্পেড্যান্স (acoustic impedance) বা শব্দের প্রতিবিম্বন। এটি আল্ট্রা সাউন্ড
ওয়েভের প্রতিবিম্ব ও পাঠানো কম্পাঙ্কের অনুপাত।
যেমন নিচে একটা অনুপাত দেওয়া হলো ।
৩. ভেদন ও শোষণ (penetration and absorption)
আল্ট্রা সাউন্ড ওয়েভের ভেদন ক্ষমতা ২ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। কিন্তু এই ওয়েভ বা কম্পনের শোষণ বা কার্যকারিতা সব জায়গায় সমান হয় না। যে সমস্ত টিসুতে জলের ভাগ বেশি থাকে তাতে শোষণের হার নিম্ন হয় কিন্তু ভেদনের হার বেশি থাকে। আবার যে সমস্ত টিসুতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাতে শোষণের হার বেশি থাকে কিন্তু ভেদনের হার কাম হয়।
৪. আল্ট্রা সাউন্ড ওয়েভের উপশম ক্ষমতা বা Attenuation
আল্ট্রা
সাউন্ড ওয়েভের উপশম ক্ষমতা নির্ভর করে ওয়েভের শোষণ হারের উপর। যেখানে জলের ভাগ
বেশি সেখানে এর উপশম ক্ষমতা কম। আবার যেখানে প্রোটিনের ভাগ বেশি থাকে সেখানে এর
উপশম ক্ষমতা বেশি হয়।
আল্ট্রা
সাউন্ড ওয়েভের তীক্ষ্ণতার গড় স্থল বা Spatial average intensity
(SAI) - এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর দ্বারায়
জানা যায় আল্ট্রা সাউন্ড কতোটি অংশে সঠিক কাজ করে। যদি আল্ট্রা সাউন্ড ৮ ওয়াট
ক্ষমতা উৎপন্ন করে এবং ৪ বর্গ সেন্টিমেটার অংশে এর তীক্ষ্ণতা বেশি থাকে তবে এর সাই
(SAI) হবে ২.০ ওয়াট প্রতি বর্গ সেমি (2.0W/cm2)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে
SAI of 3.0W/cm2 হল নিরাপদ
চিকিৎসার জন্য।
SAI of 10W/cm2 ব্যবহার করা যেতে
পারে শল্যচিকিৎসায় কোন টিস্যুকে সম্পূর্ণ নষ্ট করার জন্য।
SAI below 0.1W/cm2 ব্যবহার করা
যেতে পারে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে।
আল্ট্রা সাউন্ডের সমস্ত ডিভাইসে দুই ধরনের মুড দেখা যায়। একটি হলো অবিরাম প্রনালী (Continuous mode) আর অন্যটি হলো স্পন্দন প্রণালী (Pulse mode)। অবিরাম প্রনালীতে থার্মাল বা তাপীয় প্রভাব দেখা যায় যা ক্রনিক (chronic) বা পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার কারা হয় আর স্পন্দন প্রণালীতে কোন তাপীয় প্রভাব থাকে না এটি অ্যাকুট (acute and sub-acute) বা নতুন ও জটিল রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে অ্যাকিউস্টিক এনার্জি (Acoustic energy) বা শব্দ শক্তি কখনই কোন শূন্য মাধ্যম দিয়ে যেতে পারে না। মাধ্যম যতো ঘন হবে ততই এর বেগ বেশি হবে। এর জন্য আল্ট্রা সাউন্ড থেরাপিতে মিডিয়াম হিসাবে আল্ট্রাসাউন্ড জেল ব্যবহার করা হয়। তবে জল মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া জেল প্যাড ব্যবহার করা যায়।
যে সমস্ত ক্ষেত্রে আল্ট্রা সাউন্ড থেরাপি ব্যবহার করা হয়, তা নিম্নরূপ
থার্মাল
এফেক্ট
(Thermal effects:-continuous
mode US of 0.5-3w/cm2)
নন-থার্মাল এফেক্ট
(Using a pulsed mode: Duty cycle
of 20-25%, with normal intensity / Using
a continuous mode
with intensities lower than 0.5 w/cm2)