দেহ
ও মনের তাপ বৃদ্ধিকে তপস্যা বলা হয়। প্রাণায়াম, জপ, ধ্যানের দ্বারা অন্তরে যে
বায়ুর ঘর্ষণ হয় তাতে শরীর ও মনের তাপ বাড়ে। এই তাপ শরীর ও মনের মলকে পরিষ্কার করে।
ফলে কিছুক্ষণ তপস্যার পরে শরীর মন হালকা হয় ও একটা প্রশান্তি ভাব নেমে আসে।
ইন্দ্রিয়গুলিকে সংযমের মাধ্যমে মনকে শাসন করাও একটি তপস্যা। আবার অতিরিক্ত খাওয়ার
ফলে বদহজম হলে আমরা যেমন খাওয়া বন্ধ রাখি বা উপবাসের মাধ্যমে তাকে নিরাময় করি
তাকেও তপস্যা বলা হয়। একাদশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যায় আমাদের শরীরের পিত্ত, কফ, বায়ু,
ব্যথা, বেদনার উপর প্রভাব পড়ে। পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় আমাদের শরীরের রস বা কফ বেড়ে
যায়। এই সময় উপবাসের মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখা যায়। তাই একাদশী পালন একটি
বিজ্ঞান সম্মত ব্যাপার। একাদশী পালনে ইন্দ্রিয় ও রিপু সকল শান্ত হয়। আবার
বর্ষাকালে আমাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল হয়। তাই আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্চিন এই চার
মাস ব্রহ্মচর্য পালন ও নিরামিষ আহার করা দরকার। এই চাতুর্মাস্য পালনকে বাহ্য
তপস্যা বলা হয়। এই ভাবে দেহ মনকে সুস্থ সবল করার নামই তপস্যা। কারণ দেহ মনের
সুস্থতার উপরেই আমাদের ধারণ ক্ষমতা ও যোগ্যতা নির্ণয় করে। আসলে আহার বিহারকে সংযম
রেখে অন্তরীয় উপাসনার মাধ্যমে আত্মশক্তি লাভ করাই হল তপস্যা।
Tuesday, January 29, 2019
Home
Unlabelled
Austerity or tapasya | What is it’s actual meaning and procedure